কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি
ঘটনার খবর পেয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটি এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে যান। পরিদর্শন শেষে তারা কবর ভাঙার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেরানীগঞ্জ মডেল থানার আহবায়ক শাফায়েত ঢালী বলেন, “শহীদ রাজন বৈষম্যবিরোধী সংগ্রামের প্রতীক। তাঁর আত্মত্যাগের প্রতি এমন অবমাননা জাতির জন্য লজ্জার। যারা এই জঘন্য কাজ করেছে, তাদের দ্রুত খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।”
এছাড়াও নেতা কর্মীরা জানান, “একজন শহীদকে অসম্মান করা শুধু ব্যক্তি রাজনকে নয়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ও মানবিক মূল্যবোধকেই আঘাত করা। আমরা অবিলম্বে কবর পুনর্নির্মাণ, ঘটনার বিচার এবং শহীদের স্মৃতি সংরক্ষণের দাবি জানাই।”
স্থানীয় এলাকাবাসীও ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। অনেকেই বলেন, শহীদদের প্রতি সম্মান জানানো প্রতিটি নাগরিকের নৈতিক দায়িত্ব। এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত।
এদিকে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিষয়টি গুরুত্বের সাথে তদন্ত করা হচ্ছে। দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে থাকলেও জনগণের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
ঢাকা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কেরানীগঞ্জ সার্কেল) মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ঘটনাটি জানার পর সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে তদন্ত চলছে।