সিলেটে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে নিহত ছাত্রলীগ কর্মী তুষার হত্যা ঘটনায় আজ সকালে নিহতের বাবা বাদি হয়ে সিলেট এয়ারপোর্ট থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এতে ৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৬/৭ জনকে আসামী করা হয়েছে।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুর ২টার দিকে নিহতের লাশ
তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ।
নিহত তুষার আহমদ চৌধুরী (২১) সিলেট নগরীর রায়নগর এলাকার বাসিন্দা শাহজাহান আহমদ চৌধুরীর ছেলে। তিনি মদন মোহন কলেজের ছাত্র এবং ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন বলে জানা গেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছাত্রলীগের বিভিন্ন কর্মসূচীতে তার অংশগ্রহণের ছবি ছড়িয়ে পড়েছে।
মামলা দায়েরের
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এয়ারপোর্ট থানার ওসি সৈয়দ আনিসুর রহমান। তিনি বলেন, নিহতের লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে এবং এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃত জাবেদ আহমদকে আজ দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
জানা যায়, গত মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে নগরীর শাহী ঈদগাস্থ দলদলি চা বাগান এলাকায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ছুরিকাঘাতে খুন হন তুষার আহমদ চৌধুরী। খুনের ঘটনায় পুলিশ রাতেই জাবেদ আহমদ নামে একজনকে গ্রেফতার করে। তাকে নগরীর আম্বরখানা বড় বাজারের একটি বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, তাদের মধ্যে আগে থেকেই বিরোধ চলে আসছিল। বিরোধের সূত্রপাত ছিলো সম্ভবত মাদক সেবন নিয়ে। গত মঙ্গলবার রাতে তুষার ২/৩ জন বন্ধুর সাথে ঘটনাস্থলে বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন। তখন প্রতিপক্ষের কয়েকজন তাদের উপর হামলা চালালে সংঘর্ষ বেধে যায়। একপর্যায়ে ছুরিকঘাতে খুন হন তুষার।
আজ বিকেল ৩টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তুষার হত্যাকাণ্ডে ১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।