কচুয়া(বাগেরহাট) প্রতিনিধি।।
কচুয়ায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় মারামারি ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
গত ২১ এপ্রিল সকাল আনুমানিক ১১ টার দিকে বাধাল ইউনিয়নের যশোরদি এলাকার মজিবর শেখের ছেলে ছত্তার শেখ (৩৫) এর সাথে পার্শ্ববর্তী সিদ্দিক শেখের ছেলে মামুন সেখ (৩২) এর সাথে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে বাকবিতণ্ড শেষে মারামারির ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে ঘটনার রেশ ধরে দুর্বৃত্তরা ঐদিন দুপুর ১ টা ও বিকাল ৫ টায় দুই দফা হামলা চালিয়ে হাবিবুর রহমানের ছেলে সাইফুল শেখ (৩০) ও মতিয়ার রহমানের ছেলে হাবিব শেখ (৬০) এর বসত ঘরে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। এ ঘটনায় তাদের দুই লাখ টাকার বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ সময় তারা দাবি করেন একটি মোবাইল ফোন, স্বর্ণালংকার সহ বেশ কিছু মালামাল খোয়া গেছে।
এ বিষয়ে স্থানীয়রা জানান,মামুন শেখের কথায় ছাত্রদল নেতা রানা দিদারের নেতৃত্বে একটি সংঘবদ্ধ দল এ অতর্কিত হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে। তবে মুঠোফোনে ওই এলাকার বিএনপির ওয়ার্ড সভাপতি বলেন, হামলা এবং ভাঙচুরের ঘটনা আমি শুনেছি কে বা কারা করেছে এটা স্পষ্ট না। এ বিষয়ে দলীয় কেউ জড়িত থাকলে আমরা তার দায়ভার নিব না।
এ বিষয়ে একাধিক ভুক্তভোগী উল্লেখ করেন, ৩০ থেকে ৪০ জনের একটি সঙ্ঘবদ্ধ দল তাদের উপর হামলা চালিয়ে মারধর করেছে ও বাড়ি ঘর ভাঙচুর করা হয়েছে। এ ঘটনায় হাবিব শেখ, সত্তা শেখ, জোসনা বেগম, লাইজু বেগম কিছুটা আহত হয়েছে এবং মজিবর শেখ ও মরিয়ম বেগমকে অসুস্থ অবস্থায় বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আরো উল্লেখ করেন, মামলা করার ক্ষেত্রেও বিভিন্ন ভাবে হুমকিও ভয় ভীতি দিয়ে যাচ্ছে।
তবে অভিযুক্ত মামুন শেখ ও তার পরিবারের সদস্যরা দাবি করেন, তাকেই প্রথমে মারধর করা হয়েছে। এরপরে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যান। পরবর্তীতে তাদের বাড়ি ঘরে কে হামলা চালিয়েছে বা ভাঙচুর করেছে তা আমরা বলতে পারি না। ধারণা করছি আমাদেরকে দোষী সাব্যস্ত করার জন্যই নিজেরাই নিজেদের বাড়ি ঘরে হামলা চালিয়েছে। এছাড়াও সকালের মারধরের ঘটনায় আমি ও আমার স্ত্রী রুমিসা বেগম সহ মোমেনা বেগম আহত হয়েছে।
কচুয়া থানা পুলিশ প্রাথমিক খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ঘটনা এখনো পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা হয়নি। স্থানীয় একটি পক্ষ দুপক্ষের সাথে মীমাংসার চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে জানা গেছে। ঘটনা নিয়ে উভয়ের মধ্যে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে।