মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি-মুন্সীগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত ৪ আগস্ট শহরের কৃষি ব্যাংকের সামনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও মারধরের ঘটনায় সাবেক এমপি ফয়সাল বিপ্লবসহ ১৭০ জনের নামে মামলা করা হয়েছে। এ ঘটনায় অজ্ঞাত আরো ১০০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) সদর থানায় আদালতের আদেশে এ মামলাটি এফআইআরভুক্ত করেন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এম সাইফুল আলম পিপিএম। বিভিন্ন পত্রিকা ও অনলাইনে সংবাদ প্রকাশের পরে সদর থানা সিআর মামলাটি এফআইআরভুক্ত করা হয়েছে।
চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১ নম্বর আমলি আদালতের বিচারক পিটিশন মামলাটি সিআর মামলা ৩১০/২৫টি মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় এফআইআর ভুক্ত করার জন্য ওই দিনই আদেশ দেন।
এ মামলায় মুন্সীগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির ছেলে মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের পলাতক এমপি ফয়সাল বিপ্লবকে প্রধান আসামি করা হয়। ২৭ মার্চ চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১ নম্বর আমলি আদালতে বাদি হয়ে শহরের উত্তর ইসলামপুরের বাসিন্দা আব্দুল মতিনের ছেলে (গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত) রোকনউদ্দৌলা রাফসান (২২) এ মামলা করেন।
চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১ নম্বর আমলি আদালতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নির্বিচারে গুলি করে আহত করার ঘটনায় আরো একটি মামলা করা হয়েছে। মামলার আসামিরা হলেন প্রধান আসামি মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক এমপি মোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লব (৫৫), মিরকাদিম পৌরসভার সাবেক মেয়র শহিদুল ইসলাম শাহিন (৫২), রিপন হোসেন পাটোয়ারী (৪২), আওয়ামী লীগের জেলা সভাপতি ও ৮ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি মো: মহিউদ্দিন (৭০), সামছুল কবির মাস্টার (৬০), আফছার উদ্দিন ভূইয়া (৬০), আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সোহানা তাহমিনা (৪৫), শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান ভূইয়া (৫০), শহর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাত হোসেন সাগর (৩০), শহর ছাত্রলীগের সভাপতি নছিবুল ইসলাম নোবেল (৩৮), সরকারি হরগঙ্গা কলেজের ছাত্রলীগের সভাপতি নিবিড় আহম্মেদ (৩২), সাধারণ সম্পাদক আলমগীর (৩২), জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল মৃধা (৩৪), সদর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি সুরুজ মিয়া (৩৮), সাধারণ সম্পাদক লাকুম রাঢ়ী (৩৮), রামপাল ইউনিয়নের পলাতক চেয়ারম্যান মো: বাচ্চু শেখ (৫৫), শহর আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক রায়হানুজ্জামান রাসেল (৩৮), গজারিয়া পুরান বাউশিয়া আমিনুর রহমান হারুন সিকদার (৪৮) বাবা মরহুম আব্দুস সামাদ সিকদার, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নাজমুল হাসান সোহেলসহ (৪৫) অজ্ঞাত আরো ১০০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
অভিযোগ উঠছে, আসামি পক্ষের মধ্যে গজারিয়া উপজেলার পুরান বাউশিয়ার মরহুম আব্দুস সামাদ সিকদারের ছেলে ফ্যাসিস্ট সরকারের সকল কাজে অর্থ দিয়ে সহযোগিতাকারী আমিনুর রহমান হারুন সিকদার (৪৮) এই মামলা প্রত্যাহারের জন্য বড় ধরনের আর্থিক বিনিয়োগ করেছেন। বাদির মামলা প্রত্যাহারের কপিও থানায় বিবেচনার জন্য পাঠিয়েছেন আদালত। হারুন সিকদারকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে গজারিয়াবাসী।
সরোয়ার হোসেন কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত