হারুন শেখ বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি।
বাগেরহাটের রামপালে কৃষকদের নিয়ে ফিল্ড টেকনোলজি ওরিয়েন্টেশন কর্মসূচী পালন করা হয়েছে। রবিবার (১৩ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০ টায় উপজেলার সন্তোষপুর গ্রামে রামপাল উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে ও প্রোগ্রাম অন এগ্রিকালচারাল এন্ড রুরাল ট্রান্সফরমেশন ফর নিউট্রিশন, এন্টারপ্রেনারশিপ এন্ড রেসিলিয়েন্স বাংলদেশ (পার্টনার) প্রকল্পের আওতায় এ ওরিয়েন্টেশন কর্মসূচী পালন করা হয়।
অনুষ্ঠানে এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ ওয়ালিউল ইসলাম, অতিরিক্ত কৃষি অফিসার কৃষিবিদ জি, এম অলিউল ইসলাম, প্রেসক্লাব রামপাল এর সভাপতি এম, এ সবুর রানা, সাধারণ সম্পাদক সুজন মজুমদার,
উপসহকারী কৃষি অফিসার রানা অধিকারী, বিবেকানন্দ পাল প্রমুখ।
এ সময় পার্টনার প্রকল্পের কমিউনিটি বীজ উৎপাদন প্রদর্শনী খামারে ব্রি ধান-১০১ জাতের ২ একর জমির ধান প্রদর্শন করা হয়। কৃষকরা জানান প্রতি হোক্টরে
৮.৫ টন ধান ফলনের আশা করা হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ওয়ালিউল ইসলাম জানান, এছাড়াও রামপালে পার্টনার প্রকল্পের আওতায় ব্রিধান-১০১ জাতের ২ একরের একটি এডব্লিডি প্রযুক্তি প্রদর্শনী ( ফলন- ৮.৬ টন/ হেক্টর) এবং একটি ২ একরের নতুন জাতের ভ্যালিডেশন ট্রায়াল প্রদর্শনী (ফলন ৮.৪২ টন/হেক্টর) সহ মোট ০৩ টি বোরো ধানের প্রদর্শনীতে বাম্পার ফলন হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, প্রদর্শনীর কৃষকদের ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট গোপালগঞ্জ হতে ব্রিধান-১০১ এর ভালো মানের প্রজনন বীজ সরবরাহ করার পাশাপাশি সার, কীটনাশক, বীজ সংরক্ষণ পাত্রসহ অন্যান্য উপকরণ একসাথে সময় মত কৃষকের মাঝে সরবরাহ করা হয়। কৃষকদের সর্বদা পরামর্শ প্রদান করে সময়মত রগিং বা বিজাত বাছাই করানো হয়। এজন্য কৃষকদের নগদ সহায়তা প্রদান করা হয়। ব্রীধান-১০১ জাত পরিবেশের সাথে সহনশীল। এটার রোগবালাই প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশী। তাছাড়াও ফলন বেশী হয়, এর গাছের উচ্চতা বেশী হওয়ায় খড় বেশী হয়, যা গোখাদ্যর জন্য সহায়ক। বীজ বপনের ১৪২ দিনের মধ্যে ধান কাটা যায়। এতে যে কারণে কৃষকরা এটা আবাদে ঝুকছেন।
এছাড়াও কৃষকদের মাঝে রাজস্ব বীজ সহায়তা ও গবেষনার বীজ সহায়তা হিসেবে লবণাক্ততা সহনশীল ব্রিধান ৯৭ ও ব্রিধান ৯৯ প্রদান করা হয় এবং প্রনোদোনা কর্মসূচির আওতায় ২ হাজার ৮০০ ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে ৫ হাজার ৬০০ কেজি এসএল৮এইচ, সিনজেনটা ১২০৫ ও ব্যবিলন এর হাইব্রিড বীজ প্রদান করা হয়। ফলে রামপালে এবার বোরোর বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে এখন কাল বৈশাখীর পূর্বাভাস থাকায় কৃষকদের পরিপক্ব ধান দ্রুত কাটার পরামর্শ দেন এই কর্মকর্তা।