সাকিব আসান
প্রতিনিধি,পীরগঞ্জ, (ঠাকুরগাঁও)
পীরগঞ্জ উপজেলার পূর্ব চৌরাস্তা হতে দক্ষিণদিক হয়ে পূর্ব দিকে বোঁচাগঞ্জ রোডে প্রায় ৩ কি:মি: দূরে সাগুনি শালবন অবস্থিত। সাগুনী শালবনের পূর্ব পাশ দিয়ে ঘেষে গেছে টাংগন নদী। শালবনের উত্তর পার্শ্বে পাকা সড়ক দিয়ে নদীর উপর ব্রিজ। আর ব্রিজ সংলগ্ন ব্রিজের দক্ষিণ পার্শ্ব রাবার ড্যাম স্থাপন করা হয়েছে। শালবনের দক্ষিণে পূর্ব-পশ্চিম দিয়ে রেল লাইন অবস্থিত। উক্ত ব্রিজের উপর দিয়ে রেল লাইন অবস্থিত। এই লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল করে। চমকপ্রদ বিষয় হচ্ছে উত্তরে পূর্ব-পশ্চিম হয়ে পাকা রাস্তা এবং দক্ষিণে পূর্ব-পশ্চিম হয়ে ট্রেনের লাইন। দু পাশ্বে দুটি ব্রিজ। শালবনের পূর্বে সর্পিলাকার নদী। নদীতে রাবার ড্যাম।
পীরগঞ্জ উপজেলার পূর্ব চৌরাস্তা হতে দক্ষিণদিক হয়ে পূর্ব দিকে বোচাগঞ্জ রোডে প্রায় ৩ কি:মি: দূরে সাগুনি শালবন অবস্থিত।
প্রায় ৬৫ একর জমির উপর বিস্তৃত পীরগঞ্জের এই সংরক্ষিত শালবন।কিন্তু চিন্তার বিষয় হল এই শালবন সময়ের সাথে সাথে নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে সংগ্রাম করে যাচ্ছে। বনের ঘনত্ব বছরে বছরে কমছে, শালের কপিজ(শলগাছের চারা) খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এর প্রধান কারণ হল, শুকনো মৌসুমে শালবনের আশপাশের গ্রামবাসী জ্বালানি হিসেবে শালগাছের ঝরা পাতা কুড়িয়ে কুড়িয়ে বস্তাবন্দি করে বাড়িতে নিয়ে যায়। শালবন সংলগ্ন লোকালয় ঝাড়ু দিয়ে শালগাছের পড়ে থাকা পাতা জ্বালানির জন্য বন্দি করে নিয়ে যায়,সেই সাথে কপিজ( শালগাছের চারা) তৈরি হওয়ার বীজও বস্তাবন্দি হয়ে যায়। এই দৃশ্য আপাতদৃষ্টিতে দেখতে স্বাভাবিক হলেও ভেতরের গল্পটা ভীন্ন। শালবন থেকে বীজ উধাও হওয়ার সরাসরি অর্থ হল কপিজ( শালগাছের চারা) তৈরি হবে না। ক্রমাগত শালবনের ঘনত্ব কমতে থাকবে।
ফরেস্ট গার্ড সামাদ মন্ডল জানান,”আমি একা ৬৫ একরের শালবন কীভাবে রক্ষা করব।রাতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বন পাহারা দেই। ”
অপরদিকে সহকারী বন সংরক্ষক নুরুন্নাহার বলেন,” আমরা খুবই লোকবল সংকটে আছি,অধিদপ্তরকে বিষয়টি অবগত করেছি। এবং একটি সম্ভাব্য প্রজেক্টের কথা চলছে যার আওতায় সাগুনী শালবন পড়বে। প্রজেক্ট চালু হলে সাগুনী শালবনকে ফেনসিং করা ( কাঁটাতার দিয়ে ঘেরা দেওয়া) সম্ভব হবে। এর ফলশ্রুতিতে শালের কপিজ(শালগাছের চারা) বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে।”