মোস্তফা আল মাসুদ, বগুড়া জেলা প্রতিনিধি।
বুধবার (১৯ মার্চ) দুপুরে শহরের প্রধান সড়কগুলোয় তারা মিছিল করেন। পরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে দাবিদাওয়া সম্বলিত স্মারকলিপি জমা দেন তারা।
পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের কাছে থেকে জানা যায়, পিএসসির অধীনে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে দেশের বিভিন্ন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এবং টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর (টেক) বা ফিজিক্যাল এডুকেশন ইন্সট্রাক্টর (দশম গ্রেড) পদে নিয়োগ প্রশ্নে হাইকোর্টে একটি রিট করা হয়েছিল। সেটি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে হাইকোর্ট শুনানী চলে। সম্প্রতি এই এতে জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর পদে ৩০ শতাংশ ক্রাফট পদে নিয়োগ নিয়োগে আইন পাশ হয়। কারণ ক্রাফট পদে ননটেক বা সাধারণ শিক্ষা থেকে নিয়োগ পান প্রার্থীরা। কিন্তু পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা চান তাদের ইন্সট্রাক্টর পদে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীরা আসুক।
কিন্তু তাদের দাবি না মানায় আজ দেশের বিভিন্ন স্থানে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেন। এর ধারাবাহিকতায় বগুড়া পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীরাও রাস্তায় নামেন। শিক্ষার্থীরা প্রথমে বগুড়া জজ কোর্টের ফটকে জমায়েত হন। এ সময় তারা জলেশ্বরীতলা আব্দুর রাজ্জাক সড়ক অবরোধ করেন। এক পর্যায়ে তারা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যান। সেখানে তারা দাবি-দাওয়া সম্বলিত স্মারক লিপি পেশ করেন।
শিক্ষার্থীদের দাবিসমূহ হলো, জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর পদে অবিলম্বে ৩০% ক্রাফট ইন্সট্রাক্টর কোটা বাতিল করতে হবে। জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর (টেক) পদের শিক্ষাগত যোগ্যতা বাধ্যতামূলক “ডিপ্লোমা প্রকৌশল” ডিগ্রি থাকতে হবে। ক্রাফট ইন্সট্রাক্টর সহ দেশের কারিগরি সকল পদে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত জনবল নিয়োগ দিতে হবে। কারিগরি (পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট শিক্ষার্থীদের জন্য) সকল বিভাগীয় শহর গুলোতে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করতে হবে। কারিগরি শিক্ষা বৃদ্ধির লক্ষে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক পদে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের চাকরির আবেদনর সুযোগ বাস্তবায়ন করতে হবে। ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের জন্য প্রাইভেট সেক্টর এ সর্বনিম্ন বেতন স্কেল নির্ধারণ করে দিতে হবে।
বিক্ষোভে অংশ নেয়া ইলেকট্রিক্যাল বিভাগের ৩য় সেমিস্টারের আব্দুর রহিম জানান, ক্রাফট ইন্সট্রাক্টর পদে জেনারেল লাইন থেকে যারা আসেন, তারা আমাদের লাইনের কিছু ঠিকমতো বলতে পারেন না। এ জন্য আমরা চাই এই পদ বা জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর পদে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের নিয়োগ দেয়া হোক।
আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া শিক্ষার্থীদের একজন মেকানিক্যাল বিভাগের ৭ম সেমিস্টারের সাগর মিয়া। জানালেন, আমরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শহরের আসি। প্রথমে আমরা জজ কোর্ট ঘেরাও করি। পরে আমরা ডিসি স্যারের কাছে যাই। সেখানে আমরা ছয় দফা দাবি নিয়ে একটি স্মারকলিপি জমা দিই।
সিভিল বিভাগে ৮ম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী ও নেতৃত্বাদানী কবির আহম্মেদ কাব্য জানান, বিক্ষোভ কর্মসূচি হিসেবে আমরা ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করেছি। আপাতত এই কর্মসূচি চলমান আছে। পরবর্তীতে নতুন কোনো কর্মসূচি দেয়া হলে তা জানানো হবে।