হাবিবুর রহমান সম্রাট তালুকদার উপজেলা প্রতিনিধি
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) রাত ৯টার দিকে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার ফলদা ইউনিয়নের মাইজবাড়ী এলাকায় রাতের আঁধারে নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহার করে তড়িঘড়ি করে ঢালাই দিচ্ছিলেন ঠিকাদারের লোকজন এ সময় ভিডিও ধারণ করতে গেলে স্থানীয় যুব দলের নেতা ইসাক সরকারের নেতৃত্বে রেজাউল করিম নামের এক যুবককে মারধোরের অভিযোগ ওঠেছে। খোঁজ নিয়ে জানাযায়, ৫ লাখ টাকা অর্থায়নে মাইজবাড়ী এলাকায় ৩০০ মিটার একটি গ্রামীণ রাস্তার কাজ করছিলেন গোপালপুর উপজেলার আলমনগর ইউনিয়নের ঠিকাদার মোতালেব হোসেন (দুলাল)। রাতের আঁধারে নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহার করে নিয়মবহির্ভূতভাবে তড়িঘড়ি করে আরসিসি ঢালাই দেওয়া হয়। স্থানীয়রা বিষয়টি দেখে বাধা দিলে ঠিকাদার পক্ষের কর্মীরা উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। পরে ওই এলাকার যুবদলের সভাপতি ইসহাক সরকারের নেতৃত্বে সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলীমসহ একদল লোক তাদের ওপর চড়াও হয়ে নানাভাবে হুমকি দেয়। এসময় রাস্তার ভিডিও করতে গেলে রেজাউল করিম নামে এক যুবককে বেধড়ক মারধর করা হয়।
ভুক্তভোগী রেজাউল করিম বলেন, ‘আমরা ভালো কাজ চাই বলে প্রতিবাদ করেছিলাম। নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী এবং ঢালাইয়ের পরিমাণ কম দিয়ে রাতের আঁধারে রাস্তার কাজ করছিলেন তারা। আমরা এলাকাবাসী প্রতিবাদ করি এবং আমি ভিডিও করতে গেলে ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি এসহাক ও সম্পাদক আলীম আমার ওপর আক্রমণ করে, আমাকে মারধর করে। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার প্রস্তুতি চলছে।
এদিকে এ ঘটনার একাধিক ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। এক ভিডিওতে দেখা যায়, রাতের অন্ধকারে তাড়াহুড়া করে সড়কের ঢালাই করছিলেন ঠিকাদারের লোকজন। আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, অনিয়মের প্রতিবাদ করায় ২৪ ঘন্টার মধ্যে প্রতিবাদকারীদের পুলিশ দিয়ে গ্রেফতারের হুমকি দিচ্ছেন ঠিকাদারের লোকজন। এছাড়া অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ নানা হুমকিও দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযোগ অস্বীকার করে যুবদল নেতা ইসহাক সরকার বলেন, তেমন কিছুই হয়নি। একটু জোরে জোরে কথা কাটাকাটি হইছে তাই ভাবছে মারামারি। আসলে কিছু হয়নি।
এ বিষয়ে ফলদা ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান আবু সাঈদকে মোবাইলে কল করলে তিনি ব্যস্ততা দেখিয়ে বিষয়টি এড়িয়ে যান ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা পপি খাতুন জানান, খবর পেয়ে আমি সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। রাতের আঁধারে কাজটি ভালো করেনি। সেখানে কিছু নিম্নমানের উপকরণ আছে। নির্ধারিত সময় এবং নিয়মানুযায়ী কাজ না করলে ওই ঠিকাদারকে বিল দেওয়া হবে না সেইসঙ্গে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকায় রাখা হবে।
এ বিষয়ে ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ কে এম রেজাউল করিম মুঠোফোনে বলেন, মারধরের বিষয়টি জানা নেই, এ নিয়ে এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগও দেয়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।