মোস্তফা আল মাসুদ,বগুড়া।
শাহজাহানপুর উপজেলার ফুলদীঘি গ্রামের , বগুড়া শহর শ্রমিক দলের যুগ্ম আহবায়ক সাজেদুর রহমান সাজু অপহরণ, মুক্তিপণ, অন্যায় ভাবে এক লক্ষ্য টাকা চাঁদাদাবি মামলায় সাজু সহ চারজন জেল হাজতে।
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার আমগ্রাম এলাকার আঃ সালাম মন্ডল এর ছেলে আসাদুল ইসলাম বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন।
গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলেন, মোঃ সাজেদুল ইসলাম সাজু (৩৫), পিতা মোঃ আবুল হোসেন, সাং-ফুলদিঘী পূর্বপাড়া, মোঃ কল্লোল (৪২), পিতা-মোঃ মুশরিকুল আনোয়ার দুলু মন্ডল, সাং-নারুলী পশ্চিমপাড়াসহ ও পলাতক আসামী মোঃ মনিরুজ্জামান সোহেল (৪৩), পিতা-অজ্ঞাত, সাং-সূত্রাপুর সাতানি মসজিদ, মোঃ মোহন মাষ্টার (৪০), পিতা-অজ্ঞাত, সাং-অজ্ঞাত, থানা-শিবগঞ্জ সহ অজ্ঞাতনামা ২-৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের পর গত ৫ মার্চ বিকাল আনুমানিক সাড়ে ৪ টায় আমার ভাই তার সঙ্গীয় দুইজনসহ ডাক্তার দেখানোর জন্য বগুড়া শহরের পপুলারের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। গত বুধবার রাত আনুমানিক ১১ টার আমার বড় ভাইয়ের ব্যবহৃত মোবাইল থেকে আমার মোবাইলে ফোন করে উপরোক্ত আসামীগণ জানায় তারা আমার ভাইকে তার সঙ্গীয় দুইজন সহ আটক করিয়া রাখিয়াছে। তাদেরকে প্রাণে বাঁচাতে হলে মুক্তিপন বাবদ এক লক্ষ টাকা চাঁদা দিতে হবে। আমি টাকা দিতে অস্বীকার করলে তাদের নিকট আটক থাকা আমার ভাইকে বেধরক মারপিট করিলে আমি মোবাইল ফোনে আমার ভাইয়ের চিৎকারের শব্দ শুনিতে পাই। আমি তাৎক্ষনিক আমার সঙ্গীয় মোঃ সাদ্দাম হোসেন (৩৫), পিতা-মোঃ আব্দুল হাই, সাং আমগ্রাম, থানা-গোবিন্দগঞ্জ, জেলা-গাইবান্ধাসহ বাড়ি থেকে রওনা করে ডিবি অফিসে আসিয়া ওসি ডিবির বগুড়াকে মৌখিকভাবে অভিযোগ করিলে ডিবি পুলিশের একটি টিম গত বৃহস্পতিবার ভোর আনুমানিক সাড়ে ৫ টায় বগুড়া শাজাহানপুর উপজেলার ফুলদিঘী পূর্বপাড়াস্থ ১নং আসামী মোঃ সাজেদুল ইসলাম সাজু এর দো-তলা বিশিষ্ঠ বাসার ২য় তলার ড্রয়িং রুমে অভিযান পরিচালনা করিয়া আমার ভাই মোঃ আসাদুল ইসলামকে আহত অবস্থায় ও তার সঙ্গীয় দুইজনকে উদ্ধার করে এবং উক্ত স্থান হইতে ১ ও ২নং আসামীদ্বয়কে আটক করলেও ঘটনাস্থল হতে ৩ ও ৪নং আসামী সহ অজ্ঞাত ২-৩ জন আসামী কৌশলে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে ডিবি পুলিশের সহায়তার আমার ভাইকে বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের জরুরী বিভিাগে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। আমার ভাই কিছুটা সুস্থ হলে সে জানায়, গত বুধবার রাতে সঙ্গীয় দুইজনসহ পপুলার সংলগ্ন গ্যারেজের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন তখন ১নং আসামী পূর্ব পরিচিত হওয়ায় সে তাদেরকে দেখিতে পাইয়া তার বাসায় যাওয়ার জন্য বলে। আমার ভাই প্রথমে রাজি না হওয়ায় ১নং আসামী অনেক জোরাজুরি করতে থাকে। একপর্যায়ে আমার ভাই তার সঙ্গীয় দুইজনসহ ১নং আসামীর বসত বাড়িতে যায়। যাওয়ার কিছু সময় পরে ২, ৩ ও ৪নং আসামীগণ সহ অজ্ঞাতনামা আসামীরা সেখানে উপস্থিত হইয়া আমার ভাইকে দেশীয় অস্ত্র দ্বারা মারপিট সহ প্রাণনাশের ভয় দেখাতে থাকে এতে আমার ভাইয়ের সঙ্গীয় মোছাঃ তামান্না আক্তার (১৯) বাঁধা দিতে গেলে আটককৃত আসামীদ্বয়সহ পলাতক আসামীদ্বয় জোরপূর্বক তার শরীরের কাপড় ধরিয়া টানা হেঁচড়াসহ বিবস্ত্র করার চেষ্টা করে এবং আমার ভাইকে মারপিট ও প্রাণনাশের ভয় দেখিয়ে তার কাছে থাকা নগদ দশ হাজার টাকা পলাতক আসামী মনিরুজ্জামান সোহেল ছিনিয়ে নেয়। আটককৃত আসামীদ্বয়, পলাতক আসামীদ্বয়সহ অজ্ঞাতনামা আসামীরা আমার ভাই ও তার সঙ্গীয় দুইজনকে অবৈধ আটক, মারপিট করে, দেশীয় অস্ত্রের মুখে ভয়ভীতি দেখিয়ে আমার নিকট থেকে মুক্তিপণ বাবদ এক লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন।