মোঃ হাবিব ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়নের মাদারগঞ্জ কচুবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। বর্তমানে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
পরিবারের অভিযোগ, বিদ্যালয় বন্ধ থাকলেও শিক্ষক মোজাম্মেল হক মানিক নিয়মিত শিশুদের প্রাইভেট পড়াতেন।
শনিবার (৮ মার্চ) প্রতিদিনের মতো প্রাইভেট পড়তে গেলে ওই শিক্ষার্থীকে একা পেয়ে তিনি ধর্ষণ করেন।
ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) রাকিবুল আলম জানান, ধর্ষণের অভিযোগে একটি শিশু হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছি এবং প্রয়োজনীয় ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে।
এদিকে, স্থানীয়দের দাবি, অভিযুক্ত শিক্ষককে বাঁচাতে প্রভাবশালী মহল নানা কৌশল অবলম্বন করছে। ঘটনার পর শিশুটিকে প্রথমে সরকারি হাসপাতালে না নিয়ে একটি বেসরকারি ক্লিনিকে (সেবা ডায়াগনস্টিক সেন্টার) নেওয়া হয়, যেখানে আলামত নষ্টের চেষ্টা করা হতে পারে বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী। পরে স্থানীয়দের চাপে ভুক্তভোগীকে সরকারি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন, বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় আমরা কাউকে কোচিং করানোর অনুমতি দিইনি। অভিযুক্ত শিক্ষকের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। বিষয়টি বিস্তারিত জেনে শিক্ষা অফিসারকে অবহিত করব।
ভূল্লী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম জানান, অভিযুক্তকে আটকের চেষ্টা চলছে এবং পরিবারের পক্ষ থেকে এজাহার দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। অপরাধী যেই হোক, তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।