রনজিৎ সরকার রাজ বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:
দিনাজপুরের বীরগঞ্জে কোন মতেই থামছে না নদীর অবৈধ মাটি ও বালু উত্তোলন।
পরিবহন কাজে দিনরাত চলছে সর্বনাশা নিষিদ্ধ ডাম্প ট্রাক, ভারী যানবাহন, নষ্ট হচ্ছে সরকারী কোটি কোটি টাকায় নির্মিত রাস্তাঘাট, পুল-কালভার্ট ও বিভিন্ন স্থাপনা।
প্রমান আছে ভ্যাকুর আঘাতে শিশু নিহত, চেয়ারম্যান কর্তৃক গ্রাম পুলিশকে পিটিয়ে জখম করার দৃষ্টান্ত।
সীমাহীন লুটপাট ও দুর্নীতির মাধ্যমে স্বৈরাচার দুর্নীতিবাজ আওয়ামী সরকারের আমলে বীরগঞ্জে কয়েকটি নদী খনন করা হয়েছে।
গত ২০২৩ সালের শেষে খননকৃত ঐসব মাটি ও বালি, পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং বিআইডব্লিউটিএ-এর মাধ্যমে লট বানিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বীরগঞ্জ স্বল্প মেয়াদে ইজারা প্রদান এবং অপসারণ করে।
কিন্তু দুর্নীতিবাজ আওয়ামী সরকার পতনের পরেও উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফজলে এলাহী মোটা অংকের ঘুষ বাণিজ্য এবং মাসোহারার মাধ্যমে নদীতে অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে বছরের পর বছর ঢেপা নদীর কুড়ি টাকিয়া এবং আত্রাই নদীর কাশিপুর ঘাট দিয়ে অবৈধ মাটি ও বালি উত্তোলন ছাড়াও বিভিন্ন পয়েন্টে অব্যাহত রেখেছেন।
ফলে সরকারের কোটি কোটি টাকার রাজস্ব চুরি হচ্ছে। এসব দূর্নীতি বন্ধে প্রতিবাদ সমাবেশ মানববন্ধন, অভিযোগ, মামলা হয়েছে কিন্তু কোন প্রতিকার হয় নাই।
এ ব্যপারে কথিত ইজারাদার কাশিপুরের নুরুজ্জামান ও কুড়িটাকিয়ার তোফাজ্জল হোসেনের সাথে কথা হলে তারা বলেন আমরা তো প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই তাদের জ্ঞাতসারে প্রকাশ্য মাটি ও বালি উত্তোলন করছি।
বিআইডব্লিউটিএ সহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের অফিসারদের সাথে কথা হলে তারা বলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে কথা বলুন। বীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে মুঠোফোনে পাওয়া যায়নি।