মোঃ নেওয়াজ মোর্শেদ নোমান, জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ আওয়ামী লীগের বাহিরে ঘোরে ফেরা করা সত্ত্বেও পুলিশের নিরবতা, পুলিশের সাথে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সম্পৃক্ততা বজায় রাখাসহ ৯ দফা দাবি আদায়ের লক্ষে জয়পুরহাটে বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে শহরের জিরো পয়েন্ট বিশাল চত্বরে শত শত স্কুল কলেজের শিক্ষার্তীরা সমবেত হয়ে পুলিশের ও আইনজীবীদের বিরুদ্ধে শ্লোগান দিতে দিতে সড়কে বসে পড়ে। এরপর বেলা ১২ টার দিকে শহীদ ডা: আবুল কাশেম ময়দান থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামনে গিয়ে অবস্থান নেয়। এ সময় তারা সদর থানা ও পাঁচবিবি থানার ওসির রদবদলসহ বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে থাকেন। পরে সেখানেই তারা তাদের নয় দফা দাবি পেশ করেন। পরে সেখান থেকে আদালত প্রাঙ্গনে আইনজীবী ভবনের সামনে গিয়ে অবস্থান নিয়ে তাদের ৯ দফা দাবী পেশ করেন।
নয় দফা দাবি গুলো হলো- শিক্ষার্থীদের উপর নির্বিচারে গুলি করা কিছু পুলিশের এখনো রদবদল করতে হবে,
খুন ও নাসকতা মামলায় জরিতো আসামি দের নির্বিচারে মুক্তি দেওয়া বন্ধ করতে হবে, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ দারা আহত ছাত্র অভিযোগ দেওয়া সত্তেও পুলিশ এর নিরব ভুমিকা পালন করা বন্ধ করতে হবে, ছাত্র লীগ দারা পরিচালিত কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেওয়া সত্তেও কোন পদক্ষেপ গ্রহন না করা, ফেসিস্ট সরকারের পতনের দীর্ঘ সময় পার হয়ার পরেও পুলিশ নিজের অবস্থানে ফিরে না আসা, যে সকল পুলিশের হাতে আমাদের ছাত্র ভাইয়ের রক্ত লেগে আছে তাদেরকে অন্য জায়গায় বদলি করা, আন্দোলনে যে সকল পুলিশ গুলি চালিয়েছিলো তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ না নিয়ে আরো পদন্নোতি দেওয়া এবং জামিনকৃত আসামিদের দ্রুত বিচারের ব্যবস্থা করার দাবিও জানান তারা।
এসময় জয়পুরহাটে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি ইয়ামুর রহমান নিবিড়, মুবাশশির আলী শিহাব, কে এম সাজিন, ফারজান হোসেন, মোহতাসিম মিনাল, এহছান আহম্মেদ নাহিদ, মাইনুল ইসলাম রিসালাত, খাইরুন নাহার
ছামিতুন ইসলাম মিতুনসহ অন্যরা।
এ সময় তারা সাত দিনের আল্টিমেটাম দেন , এই সাত দিনের মধ্যে যদি তাদের দাবি-দাওয়া না মেনে নেওয়া হয় তাহলে তারা আরো বৃহত্তর কর্মসূচিসহ ব্লকেড কর্মসুচীর ঘোষনা দেন।
সরোয়ার হোসেন কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত